একজন ক্রেতার পণ্য কেনা ও ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ধর্মের সরাসরি প্রভাব রয়েছে। কাজেই, ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ডিজাইন করলে এটি অপেক্ষাকৃত বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। সাধারণত মুসলমান ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ‘হালাল’ বিষয়টিকে প্রাধান্য দেন— উভয় পক্ষেরই চূড়ান্ত উদ্দেশ্য থাকে পরকালকে ঘিরে, যা অন্য কোনো মার্কেটিং দর্শনে নেই।
আমাদের দেশে এথিক্যাল মার্কেটিং ও সাসটেইনিবিলিটির যে চর্চা, তা বর্হিবিশ্বের তুলনায় কম। এই বইয়ে লেখক বেশ কয়েকটি উদাহরণ এবং সংক্ষিপ্ত কিছু কেস স্টাডি তুলে ধরেছেন। সাথে এও বলেছেন— কেন ও কিভাবে শুধু পরিবেশ সচেতনতাই একটি প্রতিষ্ঠানকে এনে দিতে পারে মোটা অংকের মুনাফা।
ব্যবসায়ে নৈতিকতা চর্চা এবং পরিবেশ-সচেতনতার সাথে ইসলামের সরাসরি সম্পর্ক থাকায় এই দুটি অধ্যায়কেও এই বইয়ে যুক্ত করা হয়েছে। হালাল মার্কেটিংয়ের সাথে এথিক্যাল এবং গ্রিন মার্কেটিংয়ের প্রেক্ষাপটে শরীয়তের যে সকল নির্দেশাবলী রয়েছে, তা মানা ব্যবসা এবং সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ধারন— উভয় স্বার্থেই জরুরি।
হালাল মার্কেটিং, এথিক্যাল মার্কেটিং, সাসটেইনেবল মার্কেটিং, এবং গ্রিন মার্কেটিং- এ বিষয়াবলীর চমৎকার মেলবন্ধন ঘটেছে এই বইতে। বইটি দেশীয় উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও কোম্পানিগুলোকে যেমন হালাল, এথিক্যাল এবং ইকো-ফ্রেন্ডলি প্রোডাক্ট বিপণনে উৎসাহী করবে, তেমনি দেশের ভোক্তাদেরকেও সঠিকভাবে হালাল-হারাম যাচাই করে পণ্য কিনতে এবং নৈতিক ও পরিবেশের প্রতি দায়িত্ববান হতে প্রেরণা দিবে।